গত ২৪ জুন কিম জং উন তার কন্যা কিম জু এ ও স্ত্রী রি সল জুকে নিয়ে রিসোর্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেন। ২০২৪ সালের নববর্ষের পর এটিই রি সল জুর প্রথম প্রকাশ্য উপস্থিতি। রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ম্যাটসেগোরা ও অন্যান্য কূটনীতিকরাও অনুষ্ঠানে ছিলেন।
জানা গেছে, কিম জং উন ওনসানে বেড়ে উঠেছেন, যেখানে দেশের অভিজাতদের অনেকেরই ব্যক্তিগত বিলাসবহুল বাড়ি রয়েছে। এক সময়ের মিসাইল পরীক্ষার স্থান হিসেবে পরিচিত এই শহরটিকে তিনি পর্যটন কেন্দ্রে রূপান্তর করতে চান। রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম কেসিএনএ দাবি করেছে, ৪ কিলোমিটার (২.৫ মাইল) দৈর্ঘ্যের এই রিসোর্টে প্রতিদিন ২০ হাজার পর্যটক থাকতে পারবেন। সেই সাথে হোটেল, রেস্তোরাঁ, শপিং মল ও ওয়াটার পার্ক থাকবে— যার কোনোটিই স্বাধীনভাবে যাচাই করা যায়নি।
কিছু পর্যবেক্ষক বলছেন, এটি পিয়ংইয়ংয়ের জন্য আয়ের একটি সহজ উপায়। যদিও বিদেশি পর্যটকদের অনুমতি দেয়া হয়, তাদের বেশিরভাগই আসেন চীন ও রাশিয়া থেকে— উত্তর কোরিয়ার দীর্ঘদিনের মিত্র দেশ।
কোভিড মহামারির সময় উত্তর কোরিয়া ২০২০ সালের শুরুতে সীমান্ত বন্ধ করে দেয় এবং ২০২৩ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা শিথিল করেনি। এরপর ২০২৪ সালে তারা রাশিয়ান পর্যটকদের জন্য দরজা খোলে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি ও অস্ট্রেলিয়ার পর্যটকদের জন্য সীমান্ত খোলা হলেও কয়েক সপ্তাহ পরই অপ্রত্যাশিতভাবে আবার বন্ধ করে দেয়া হয়।
কেসিএনএ ওনসান রিসোর্টকে ‘সমগ্র দেশের জন্য একটি মহান ও শুভ ঘটনা’ আখ্যা দিয়ে এটিকে পর্যটনে ‘একটি নতুন যুগের সূচনা’ বলেছে। মূলত, ২০১৯ সালের অক্টোবরে এটি খোলার কথা ছিল, কিন্তু নির্মাণ বিলম্ব ও কোভিডের কারণে তা সম্ভব হয়নি। সূত্র : ইনসাইডার।